আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা এতই সোজা?-প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর - দৈনিক অপরাজিতা

Breaking

home Top Ad

Sunday, December 18, 2022

আওয়ামী লীগকে উৎখাত করা এতই সোজা?-প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর


 

বিএনপি, জামায়াত ও গণতন্ত্র মঞ্চের একযোগে আন্দোলন কর্মসূচির সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটসহ আরও কয়েকটি দল তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে। আরেকটা ব্যাপার খুব অবাক করার মতো, কোথায় বাম উইং আর কোথায় ডান উইং। বাম দিকে যারা 90 ডিগ্রী পরিণত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে.

রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিজয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জামায়াত, বিএনপি এবং আমাদের বাম, চরম বাম, খাটো বাম, শক্তিশালী বাম, হার্ড বাম- সবাইকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সে বলল না—কী অদ্ভুত দেশ, সেলুকাস। কথাগুলো মনে হয় তাদের আদর্শ কোথায়? কোথায় তাদের নীতি? এবং যেখানে? আর কী কারণে যারা খুনি, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, গ্রেনেড হামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি, দেশের অর্থ পাচারকারী, সব ধরনের অপকর্মের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা। , এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে, সেই টাকা ব্যাংকে রেখে মুনাফা খায়, দোষী সাব্যস্ত করে আমাদের বড় বড় তাত্ত্বিকদের নেতৃত্বে আসামিরা, বড় বড় কথা বলে, তারা এক হয় কী করে? এটাই আমার প্রশ্ন।

স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে ২০ দলে যোগ দিয়ে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে? তাদের সমর্থনে হাত মেলাবেন কীভাবে? এটা সম্পর্কে চিন্তা আমাকে বিস্মিত. তারা ইতিহাস জানে।

সরকারপ্রধান বলেন, আওয়ামী লীগের অপরাধ কী? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে নিজেরা খাচ্ছে না। দেশের মানুষকে খাবার দিচ্ছেন। সরকার প্রধান গৃহহীনদের ঘর দেওয়া, রোগের চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ডিসেম্বরে বিজয় অনুষ্ঠান করবে বিএনপি। সেদিন আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে প্রকৃতপক্ষে উৎখাত করা হবে। খুবই সোজা! (এটা) আওয়ামী লীগ পারে।

প্রধানমন্ত্রী পরপর তিনবার বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি, যুদ্ধে পরাজিত করে ইয়াহিয়া খানকে উৎখাত করেছি, জিয়াকে আমরা পাইনি, কিন্তু জিয়া যেখানেই গেছেন, তার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে’। আমি এরশাদকে উৎখাত করেছি। খালেদা জিয়া (১৯৯৬ সাল) ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরির অভিযোগে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। আবার ২০০৬ সালে ভোট চুরি করেন, ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার ভোট দিতে চেয়েছিলেন, সেটিও বাতিল হয়েছে।

তাই আওয়ামী লীগ পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে... হ্যাঁ, তারা চক্রান্ত করতে পারে, চক্রান্ত করতে পারে।

নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেয়নি। ভুগছে এদেশের মানুষ। মানুষকে সতর্ক হতে হবে। আবার ভুগতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিজয়ের পতাকা সমুন্নত রেখে উন্নয়নের পথে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবো। 2041 সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।

শেখ হাসিনা দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে সরকার জনগণের সেবক এবং সরকার চাইলেই জনগণের উন্নতি করতে পারে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসা খুব সহজ ছিল না। এটা এত সহজে আসেনি। মানুষ আমাদের সমর্থন করে। আমাদের ভোট আছে। কিন্তু কারসাজি, ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই হোক আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের শক্তিই বড় শক্তি। এবং বিশ্বাস। আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে ক্ষমতায় এসেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষ হবে। আমাদের অর্থনীতি আমাদের ব্যবসা। আমরা যা কিছু করি তা হল ই-গভর্নেন্স, ই-বিজনেস আমরা এইরকম সবকিছুই করব। আমরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে শিক্ষা সব কিছুর উপর ভিত্তি করে গড়ে তুলব। এভাবেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজয় এনেছি, এই বিজয়ের পতাকা আমাদেরকে সমুন্নত রাখতে হবে। এবং সেই খুনি, যুদ্ধাপরাধী, যাদের আমরা বিচার করেছি, তারা যেন এই দেশকে আর ধ্বংস করতে না পারে। সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিদেশিদের সম্মান জানানোর বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ আমাদের জন্য এত কিছু করলে আমরা তা মেনে নিই। কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যুগ্ম তত্ত্বাবধানে বক্তব্য রাখেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, মোশাররফ হোসেন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সিমিন হোসেন প্রমুখ। হোসেন রিমি, জোগম. সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages