বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ জানান, আব্দুল জব্বার মাহমুদ জিহাদী পরিবার নিয়ে ওই মাদ্রাসার ভেতরেই বসবাস করতেন। তিনি হেফাজতে ইসলামের রাজশাহী শাখার অর্থ সম্পাদক। এছাড়া কাওয়ামি মাদ্রাসা ¯^ীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য।
তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার রাতে ওই মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের ১৪ বছরের এক ছাত্র থানায় এসে তাকে বলাৎকারের অভিযোগ করে। তার বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দা উত্তরপাড়া গ্রামে। সে ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র। তার অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই মাদ্রাসা থেকে জব্বারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় আব্দুল জব্বার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। তবে তার শারীরিক কোন সমস্যা না থাকায় বুধবার সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ওই ছাত্রের বাবা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার দুপুরে মাদ্রাসা সুপার আব্দুল জব্বার তার নিজের চেম্বারের বাথ রুমে ওই ছাত্রকে বলাৎকার করে।ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠনো হয়।
বলাৎকারের শিকার ওই ছাত্র জানায়, সে মাদ্রাসার আবাসিক মেসে থেকে পড়াশোনা করতো। শুক্রবার দুপুরে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে মাদ্রসার সুপার তার বাথ রুমে কাপড় ধুতে বলেন। এসময় সুপার বাথ রুমে গোসল করতে ঢুকে। গোসল করার এক পর্যায়ে তাকে ধরে বলাৎকার করে।
এসময় বিষয়টি কাউকে বললে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার হুমকিও দেন ওই সুপার। ওই ছাত্র আরও জানান, গত মঙ্গলবার তিনি বিষয়টি তার এক শিক্ষককে প্রথমে জানান। পরে ওই শিক্ষক তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানালে বিকেলে তার বাবা রাজশাহীতে আসেন। এর পর রাতে তারা থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান। ওই সুপার এর আগেও এধরণের অনেক ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে ছাত্র ও শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি তার স্ত্রী এসবের প্রতিবাদ করলে তাকেও পিটিয়ে জখল করেছিলেন ওই সুপার। পরে অন্য শিক্ষকরা সুপারের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করান।
No comments:
Post a Comment